মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের ড্রইং-ডিজাইনের কাজ শেষ: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের ড্রইং-ডিজাইনের কাজ শেষ করা হয়েছে।ফলে আগামী ২০২৬ সালে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হয়।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বর্তমানে ড্রইং-ডিজাইন করে কাজ শেষ করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন করে ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ চ্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার ঢেউ নিরোধক বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার কন্টেইনার জেটি ও ৩০০টি দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সব বন্দর সুবিধা নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী জুলাই মাস নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।

আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের উত্তরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী আরও দুটি দুই হাজার টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া প্রচলিত দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য চারটি উইঞ্চ বার্জসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram