চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরী।
রোববার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চালু ও লাভজনক এনসিটি টার্মিনালকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। এটি দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।’
তার অভিযোগ, সাবেক স্বৈরাচার সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এই টার্মিনালের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং এটি বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ পরিচালিত হয় এবং এর ৫৫ শতাংশই হয় এনসিটি টার্মিনালের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এনসিটি থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১,৩৬৭ কোটি টাকা। এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে গেলে জাতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এনসিটি হস্তান্তর হলে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে, রাজস্ব আয় কমে যাবে এবং বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা গমন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে নৌবাহিনীর ঘাঁটি থাকায় জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম নগর নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, বন্দর থানা আমির মাহমুদুল আলম, চকবাজার থানার নায়েবে আমির আবদুল হান্নান, কোতোয়ালী থানা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদ, বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইয়াছিন, শ্রমিক নেতা আদনান প্রমুখ।