logo
ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের জয়
সংবাদ প্রকাশিত:

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়েই ক্ষান্ত হয়নি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটিতে হারিয়ে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও দিল টাইগাররা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১৬ রানের জয় পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ ‍উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ইনিংস থেমেছে ১৪২ রানে।

এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরে টাইগাররা জয় তুলে নেয় ৪ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে প্রথমবার কোনো সংস্করণে ইংলিশদের সিরিজ হারানোর স্বাদ পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সাকিব বাহিনী হোয়াইটওয়াশেরও স্বাদ নিয়ে নেয়।

তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। শুরুতেই ফিল সল্টের উইকেট হারানোর পরে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জস বাটলার ও ডেভিড মালান মিলে দলকে ৯৯ রান এনে দেন। তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচটাও ফসকেই গেল বাংলাদেশের কাছ থেকে। কিন্তু ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শততম উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।

লিটনের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে মালান ৪৭ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। তার সাজঘরে ফেরার পরের বলেই পয়েন্ট থেকে দুর্দান্ত থ্রোয়িংয়ে বাটলারকে রান আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি আউট হন ৩১ বলে ৪ চার ও এক ছক্কার মারে ৪০ রানের ইনিংস খেলে।

পরপর দুই বলে এ দুজনের বিদায়ের পর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। যেখানে বড় কৃতিত্বটা ছিল তাসকিন আহমেদের। জয়ের জন্য ইংলিশদের যখন ২৪ বলে ৪০ রান প্রয়োজন তখন মঈন আলীকে মেহেদী হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার। ১০ বলে ৯ রান করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন তাসকিন। ডাকেট সাজঘরে ফেরেন ১১ বলে ১১ রান করে।

১৮তম ওভারে মুস্তাফিজ এসে মাত্র ৫ রান দিয়ে সফরকারীদের চাপ বাড়ান। পরের ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরা এ ব্যাটার করেন ৬ বলে ৪ রান। এক উইকেট নেয়ার পাশাপাশি টাইগার অধিনায়ক এ ওভারে খরচ করেন মাত্র ৪ রান। তাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংলিশদের প্রয়োজন পড়ে ২৭ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই হার্ড হিটার ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান। তবে তারা পেসার হাসান মাহমুদের বিপক্ষে কোনো অঘটন ঘটাতে পারেননি। তাতে জয় থেকে ১৬ রান দূরে থেকে থামে ইংলিশদের ইনিংস।

হোয়াইটওয়াশের মিশনে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। লিটন খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত।