দেশের বাজারে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে সাবান-ডিটারজেন্টসহ টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম।দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে কোম্পানি গুলো। এ অবস্থায় উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোক্তা অধিদফতর।
৯০ টাকার ডিটারজেন্ট দাম বেড়ে কেজি ১৮০ টাকায় ঠেকেছে। রয়েছে নতুন দামে আসার খবরও। ৫৫ টাকার গায়ে মাখা সাবানের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন কোনো না কোনো টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম বাড়ছে বাজারে। হাস্যকর হলেও সত্য, একই পণ্য তিন রকমের দামে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণ জানেন না বিক্রেতারা। কিন্তু বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে ঠিকই।
বিক্রেতারা বলছেন, এক কেজির একটি পণ্যই ১২০ টাকাও আছে, আবার ১৪২ বা ১৫২ টাকাও আছে। কখন যে কোন পণ্যের দাম বাড়ছে, তা আমরাও বুঝতে পারছি না। এ নিয়ে কাস্টমারের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হচ্ছে। অনেক কাস্টমার দুটি প্রয়োজন হলেও দেখা যায়, তারা তখন একটি নেন।
এক সপ্তাহ আগের হিসাবে বাজারে টয়লেট্রিজ পণ্য কিনতে এসে হতবাক হচ্ছেন ক্রেতারাও।
ক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিন পণ্য কিনতে আসলেই দেখছি যে ৫ বা ১০ টাকা করে বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান মূল্যের সঙ্গে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার ব্যবধানটা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে।ভোক্তা অধিদফতর বলছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় পর্যালোচনা করা হবে। গঠন করা হয়েছে কয়েকটি সংস্থাকে নিয়ে কমিটি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের গঠিত কমিটি এক মাসের মধ্যে কারখানাগুলো পরিদর্শন করবে। তাদের খরচ বিশ্লেষণ করা হবে। এতে দেখা হবে, তাদের উৎপাদন খরচ যেটা বেড়েছে, তার সঙ্গে বাড়তি দাম নেয়াটা সামঞ্জস্য আছে কিনা। সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সরকারি সংস্থার তদারকিতে কতোটা কমবে কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা তা নিয়েও রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।