রেলস্টেশনে সেনা সদস্যকে মারধর করায় আরএনবির তিন সদস্য গ্রেপ্তার

টিকিট থাকার পরও ট্রেনের কামরায় ওঠার সময় সেনাবাহিনীর এক সদস্যের কাছে থেকে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন আরএনবি’র এক সদস্য। এর প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর ওই সদস্য ও এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন তারা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) তিন সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— সিপাহী মাইন হাছান রাকিব (২৩), লিটন চাকমা (২৪) ও হাবিলদার রবিউল ইসলাম (৩০)। তারা তিনজনই আরএনবি’র সদস্য।

এর আগে, প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আরএনবির চার সদস্য হাবিলদার মো. রবিউল ইসলাম, সিপাহি মাইন হাসান রাকিব, লিটন চাকমা ও ইয়াসির আরাফাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবির কমান্ডেন্ট রেজওয়ানুর রহমান।

অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে মেইল ট্রেনে বি-বাড়ীয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন এক সেনাসদস্য। ট্রেনের টিকেট কেটে প্লাটফর্মে থাকা ঢাকা মেইল ট্রেনের তার নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে যাবেন তখনই রেলওয়ের নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা কয়েকজন আরএনবির সদস্য তাকে ট্রেনের সামনের ৩টি বগির যেকোন একটিতে যেতে বলে। একইসঙ্গে এই বগিতে উঠতে হলে ৩শ’ টাকা দিতে হবে বলে জানায় ওই সেনাসদস্যকে। এছাড়া ৩শ’ টাকা না দিলে ওই সিটে বসা যাবে না বলেও হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন আরএনবি’র সদস্যরা। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যকে আরএনবির সদস্যরা অন্যায় ও অযাচিতভাবে গালাগালি, মারধর, রাইফেল দিয়ে ধাক্কাসহ সেনাবাহিনীকে নিয়েও ব্যাপক গালমন্দ করেন।

তিনি আরও বলেন, এসময় বি-প্লাস নামক একটি অনলাইন চ্যানেলের প্রতিবেদক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং তার মোবাইলে ধারণ করেন। মুহূর্তেই এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরে এ ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ আরএনবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তার আসামিরা সেনাসদস্যকে অন্যায় ও অযাচিতভাবে গালাগালি, মারধর, রাইফেল দিয়ে ধাক্কাসহ বাহিনীকে নিয়ে গালমন্দ করার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram