বড় বোনের সঙ্গে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ছোট বোনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে মো. সায়ের আলম পাভেল (৩৪) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পেশায় রংমিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। তবে নিজেকে কখনো পরিচয় দিতেন বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রিধারী, কখনো-বা ম্যাজিস্ট্রেটের ছেলে। এ ঘটনায় অপহৃতাকে উদ্ধার করে পাভেল ছাড়াও তার দুই সহযোগীকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর থেকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও পাভেল পরিচয় দিতেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলির মেজো মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেন পাভেল। রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন তাকে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করেন। এরপর তার অন্য জায়গায় বিয়ে হলে প্রতিশোধ নিতে তার ছোট বোনকে টার্গেট করেন পাভেল।
প্রবাসী ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ আগস্ট অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে নিজ বাসা থেকে অপহরণ করেন। তার এক সহযোগী জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর বাবার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় মেয়েকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করার হুমকি দেন।
এরপর কিশোরীর বাবা ১৮ আগস্ট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই মাঠে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় মেয়েকে। এ সময় দুই সহযোগীসহ অভিযুক্ত পাভেলকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া অন্য দুজন হলেনঃ মো. শেখ আলমগীর (২৩) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই প্রতিশোধ নিতে ছোট বোনকে অপহরণ করেন পাভেল। ওই কিশোরীকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলে জাহাঙ্গীরের বাসায় রাখা হয়। অভিযুক্তরা মির্জাপুর থানায় দুটি নারী অপহরণ মামলার আসামি। এ থেকে পুলিশ ধারণা করছে, তারা নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। তবে তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা কোথায় কার সঙ্গে মিশছে, সংবাদ সম্মেলনে সেসব বিষয়ে অভিভাবকদের খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি