জোরে গান বাজাতে নিষেধ করায় খুন, গ্রেফতার ৩

নাহিদ

জোরে গান বাজাতে নিষেধ করায় নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ১৩ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে মূলহোতা প্রতিবেশী নাহিদসহ তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গত ১ আগস্ট রাজশাহীর হরিষা ডাইং এলাকার নিজের বাসায় উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন নাহিদ। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের কষ্ট হওয়ায় গানের আওয়াজ কমাতে বলেন প্রতিবেশী মুকুল আলী। কিন্তু এরপরও আরও জোরে গান বাজাতে থাকে নাহিদ। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী মুকুল আলীকে রড দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে জখম করে অভিযুক্ত নাহিদ। তার চিৎকারে ছোট ছেলে শাহীন ও মেয়ের জামাই আলমগীর বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে নাহিদের পরিবার। পরে আহত অবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, উচ্চ শব্দে গান বাজাচ্ছিল, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা তৈরি হয়। একপর্যায়ে আসামি নাহিদ রড দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে জখম করে প্রতিবেশী মুকুল আলীকে।

ঘটনার দুই দিন পর চট্টগ্রামে পালিয়ে আসে প্রধান আসামি নাহিদ ও তার পরিবার। গা-ঢাকা দিতে নগরীর সলিমপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ নেয় নাহিদ ও তার বাবা। ঘটনার ১৩ দিন পর মূলহোতা নাহিদসহ তার বাবা ও মাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক ল্যাফট্যান্ট কর্নেল এস এম ইউসুফ বলেন, প্রধান আসামি নাহিদসহ তার বাবা বকুল ও মা আমেনাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া নাহিদ স্বীকার করেছে মুকুল আলীকে হত্যার বিষয়টি। অন্যদিকে তার বোন খাদিজাকে ঘটনার পরদিন তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২ আগস্ট নিহতের ছেলে শামীম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে রাজশাহীর শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram