নগরীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রির, ওজনে কম দেয়া, লাইসেন্স না থাকা,জ্বালানি তেলের মান নিয়ে ভেজাল থাকার অভিযোগে ৯ ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ ঘ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।এতে বিভিন্ন অনিয়ম, ওজনে কম দেয়া,প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৯ টি ফিলিং স্টেশনকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ২নাম্বার গেইট ও চান্দগাও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খান এন্ড ব্রাদাস ১০,০০০ টাকা, ফসিল পেট্রোল পাম্পকে ১০,০০০ টাকা,কণফুলী ফিলিং স্টেশন, বাকলিয়াকে ২০,০০০ টাকা মীর ফিলিং স্টেশন ১০,০০০ টাকা মোট ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেন।
অন্যদিকে চান্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা নগরীর নাসিরাবাদ ও প্রবর্তক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলহাজ্ব ফয়েজ আহমেদ এন্ড সন্সকে ১০’০০০ টাকা,বাদশা মিয়া ফিলিং স্টেশন ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস হাক্কানী টাইগারপাস, ডিটি রোড, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রিফুয়েলিং স্টেশন ইউনিট -১ কে ৫০,০০০ টাকা নূর এ মদিনা সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে ৪০,০০০ টাকা জরিমানা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রির, ওজনে কম দেয়া, লাইসেন্স না থাকা,জ্বালানি তেলের মান নিয়ে অভিযোগ থাকায় আজ নগরীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষিতে অর্থদণ্ড করা হয়।ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনাপত্তিপত্র, বিষ্ফোরক অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রয়োজন কিন্তু সরজমিনে দেখা যায় অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।যার ফলে তাদের অর্থদণ্ড করা হয়।আমাদেরএ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।