এবার যুক্তরাজ্যও পড়তে পারে বিদ্যুৎ সংকটে।যুক্তরাজ্য তার বিদ্যুৎ চাহিদার ৫ শতাংশ জলবিদ্যুৎ নরওয়ে থেকে আমদানি করে থাকে। সম্প্রতি নরওয়ে জানিয়েছে, পানির পৃষ্ঠতল নিচের দিকে নেমে যাওয়ায় সেখান থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে যুক্তরাজ্যে বিদ্যুৎ রফতানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের আইনসভায় দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ত্রেজে আসল্যান্ড বলেছেন, খরা ও তীব্র গরমের কারণে ভূপৃষ্ঠ থেকে পানির উচ্চতা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেখা দিতে পারি পানি সংকট। সংকট মেটাতে আপতত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখতে চাচ্ছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
ত্রেজে বলেন, গত বছরের তুলনায় বর্তমানে নরওয়ের দক্ষিণভাগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৮ শতাংশ কমে গেছে। এদিকে বিশ্ববাজারে চলছে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে ও আগামী শীত মৌসুমে তাদের জন্য বিদ্যুৎ আমদানি কঠিন হয়ে যাবে। এ সমস্যা আগামী বছর এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে নরওয়ে বিদ্যুৎ আমদানি বন্ধ করে দিলে বিপদে পড়বে যুক্তরাজ্য। নরওয়ের ‘নর্থ সি লিঙ্ক’ থেকে ১ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে যুক্তরাজ্য, যা দেশটির মোট চাহিদার ৫ শতাংশ।
এমনিতেই মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে যুক্তরাজ্য, এর মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট বেড়ে গেলে বেড়ে যাবে দাম। বিশেষ করে শীতকালে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রকট হলে দেশটির সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান অরোরা এ্যানার্জি রিসার্চ।এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন জলবিদ্যুৎ না পেলে যুক্তরাজ্যকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকতে হবে- যা পরিবেশ বিরোধী।