logo
রাঙ্গামাটিতে ভাড়া বাড়‌লো সিএনজির
সংবাদ প্রকাশিত:

রাঙ্গামা‌টি‌তে জ্বালা‌নি তে‌লের দাম বৃ‌দ্ধি পাওয়ায় সিএন‌জির ভাড়া পুনঃ‌নিধারণ করা হ‌য়েছে।এর আ‌গে ভাড়া বাড়া‌নোর দা‌বি‌তে সকাল থে‌কে গা‌ড়ি চলাচল বন্ধ ক‌রে দেয় চ‌লকরা।ফ‌লে দু‌র্ভো‌গে প‌ড়ে যাত্রীরা।

আজ রোববার আ‌য়ো‌জিত বৈঠকে রাঙ্গামাটি শহরের বনরুপা-থেকে রিজার্ভ বাজার, বনরুপা থেকে তবলছড়ি, বনরুপা থেকে ভেদভেদী ১৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। রিজার্ভ বাজার থেকে ভেদভেদী পর্যন্ত ৩০টাকা ভাড়া নির্ধারণসহ প্রতি যাত্রীর ভাড়া ৩টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি শহর এলাকার সিএনজি সর্বোচ্চ ৩০টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০টাকা নির্ধারণ করা হয়। ভাড়ার তালিকাটি আজ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সবাইকে সমন্বয় করে আমাদের চলতে হবে। না হলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করা সম্ভব হবে না। সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলাম। সুন্দর এই রাঙ্গামাটি কিভাবে রাখবো সেটি আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। ২০১৩ সালের পর কোন ভাড়ার দাম বাড়ানো হয়নি সেটিও আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। ভাড়ার তালিকা যেটি প্রস্তাব করেছি আজ থেকে সেটি কার্যকর হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ বৈচিত্র্যময় সুন্দর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাঁরা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে চলে যায়। অপরিকল্পিতভাবে সিএনজি চলাফেরা করে কোন নাম্বার নাই, শৃঙ্খলা নাই। আসলেই এ ব্যাপারটার সমাধানের দরকার। অনেক ড্রাইভার অতিরিক্ত যাত্রী নেয় ভাড়ার দাম তোয়াক্কা করে না। আমরা সরকারি গাড়িতে চলাফেরা করি বলে যাত্রীদের দুঃখ বুঝি না।

বৈঠক উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর ররহমান, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম, বিআরটির রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন মিয়া, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ অন্যান্যরা প্রমূখ।

এদিকে বৈঠক চলাকালীন সিএনজি চলাচলের জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। ঘোষণার পরপরই জেলা প্রশাসকের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই কিছু অমান্যকারী চালক অন্য চালকদের শহরের বনরুপায় গাড়ি চলাচলে বাঁধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সিএনজি মালিক সমিতির মধ্যে মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় সিএনজি চালক অসিত চাকমা মারধরের শিকার হন। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও দুপুরে কে কে রায় সড়কে গাড়ি চলাচলে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই সমিতির চালকদের মধ্যে হাটাহাটির ঘটনা ঘটে।