মুস্তাফিজ,শরিফুলের ব্যাটিং নৈপুণ্যে, ৩০৪ রানের তার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে। জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রথম আঘাত হেনেছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে গেছেন রেগিস চাকাভা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার। ফিজের পর বোলিংয়ে এসে উইকেট নেন শরিফুল ইসলামও।
শরিফুলের শিকার হন তারিসাই মুসাকান্দা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই উইকেটে ৬ রান নিয়ে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে আছেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলে মেধেভেরে।টস হেরে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শুরুটা করেছিলেন তামিম-লিটন, শেষটা করেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। তিন বছর পর মাঠে ফেরা বিজয়ও খেল দেখালেন। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর প্রিয় ফরম্যাটে খেলতে নেমেই চেনা ছন্দে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম চারজন ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ওপেনিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন মিলে গড়েন শত রানের জুটি। তাদের জুটি ভাঙে তামিম ৬২ রান করে বিদায় নিলে। লিটন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে করেন ৮১ রান। এরপর এনামুল বিজয়ের ব্যাট থেকে ৭৩ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে ৫২ রান আসে। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে করেন ২০ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ভিক্টর নাইয়াচি ও সিকান্দার রাজা। পরিসংখ্যান বলছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এছাড়া আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে কখনো হারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), ইনোসেন্ট কাইয়া, মুসাকান্দা, ভিক্টর নাইয়াচি, সিকান্দর রাজা, রায়ান বার্ল, লুক জংউই, ওয়েসলে মেধেভেরে, রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও মিল্টন শুম্বা।