আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিতে রাজি: কৃষিমন্ত্রী

আবদু রাজ্জাক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সক্ষমতা বিবেচনায় বাংলাদেশকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ছয় টাকা বাড়লেও কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে তদারকি করছে সরকার।

আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণেই ইউরিয়া সারের দাম কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেদিকে সরকার কঠোর মনিটরিং করবে। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে সারের বেশি দাম নেয়া হলে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমলে কৃষক সার না পেয়ে প্রতিবাদ করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফলে সারের দাম বৃদ্ধিতে বিএনপিসহ কিছু দলের উদ্বেগ প্রকাশ চরম নির্লজ্জতার প্রমাণ।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সম্প্রতি ঋণ চাওয়া নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সক্ষমতা বিবেচনায় ঋণ দিতে রাজি হয়েছে তারা।এর আগে আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের করা ঋণ সম্পর্কিত আবেদনটি নিয়ে আলোচনা করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ আইএমএফের দ্বারস্থ হলো।

মূলত বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দেশে আমদানি ব্যয় বেড়েছে এবং তাতে লেনদেন ভারসাম্যে চাপ পড়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি। মূলত ঘাটতি পূরণেই আইএমএফের দ্বারস্থ হলো বাংলাদেশ।

এ ব্যাপারে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের নতুন চালু করা জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলের আওতায় বাংলাদেশ ঋণ নিতে আগ্রহী। এ ছাড়া আইএমএফের আরেকটি কর্মসূচির আওতায় ঋণের বিষয়ে আলোচনার জন্যও অনুরোধ করেছে সরকার।

ঋণ প্রদান প্রসঙ্গে আইএমএফের এক মুখপাত্র জানান, তারা বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তহবিলের বিদ্যমান নীতি ও প্রক্রিয়ার আলোকে কর্মসূচি প্রণয়নে কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় যে কর্মসূচি ঠিক হবে, সে অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হবে।

এর আগে গত বুধবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ঋণ প্রসঙ্গে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতে যদি ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি বাড়ে, সে জন্যই মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় আলোচনা সাপেক্ষে সহায়তা চেয়েছে। এটি সহজ শর্তের ঋণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার এ ধরনের ঋণসহায়তা আইএমএফের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।

 

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram