চট্টগ্রামে অবশেষে উদ্বোধন হলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)–এর বহুল প্রতীক্ষিত ১০ তলা ভবন। এতে করে এখন থেকে ৩১৫টি পণ্যের মান যাচাই ও পরীক্ষা করা সম্ভব হবে এ বিভাগেই, যা পূর্বের ৯২টি পণ্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। এর মধ্য দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা ও পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বিএসটিআই-এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়।
দীর্ঘ এক দশক ধরে নানা জটিলতা ও বিলম্বের পর নির্মিত এই ভবনের মাধ্যমে চট্টগ্রামেই পূর্ণাঙ্গ মান যাচাই সুবিধা চালু হলো। এতদিন আমদানি-রফতানিকারকদের অধিকাংশ পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য ঢাকায় যেতে হতো, যা সময় ও খরচ বাড়িয়ে দিত। নতুন ল্যাব সুবিধার ফলে সেই নির্ভরতা কমবে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম হবে আরও সহজ ও দ্রুততর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আদিলুর রহমান বলেন, ‘এই আধুনিক ভবন ও ল্যাব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’ উদ্বোধনের পর তিনি ভবনের বৈদ্যুতিক, প্রকৌশল, রাসায়নিক ও ফিজিক্যাল ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘১৯৫৬ সালে বিএসটিআই-এর কার্যক্রম শুরু হলেও চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ সেবা কাঠামোর অভাব ছিল। এখন প্রথমবারের মতো এখানে সম্পূর্ণ মান-পরীক্ষা সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়েছে।’
ভবন নির্মাণ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম শাহজালাল মজুমদার জানান, ‘আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই ভবন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।