শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো—টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আজ (শনিবার) কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এই ঘোষণা দেন তিনি।
শান্ত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না।’
তিনি জানান, দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘এটা কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। পুরোপুরি দলের ভালোর জন্যই সরে দাঁড়িয়েছি। আমার মনে হয়, তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব সামলানো একটু কঠিন। তাই এই সিদ্ধান্ত,’—বলেন শান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বেশ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিজে থেকেই ছেড়ে দেন তিনি। এরপর মে মাসে ওই দায়িত্ব পান লিটন দাস। যদিও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকা সত্ত্বেও তাকে না জানিয়ে বিসিবি সেখানে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয় মেহেদি হাসান মিরাজকে।
এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরে জানান, শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি, বরং বোর্ডের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং শান্ত নিজেও সেটা খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় মেনে নিয়েছেন।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় শান্তর। সর্বশেষ কলম্বো টেস্টসহ মোট ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৪টি ম্যাচে। জয়ের সংখ্যায় তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অবস্থান করছেন।