চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বহিষ্কৃত জামায়াতকর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আকাশ চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘আকাশ চৌধুরীকে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আটক করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’
গত ২৮ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামে একটি নতুন সংগঠন। ওই হামলায় কয়েকজন আহত হন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক ছাত্রসহ দুজনকে আটক করে। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
হামলার পরপরই ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়—চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পাশে চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সামনে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রজোট কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’-এর কর্মীরা। ভিডিওতে আকাশ চৌধুরীকে পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে দুইজনকে লাথি মারতে দেখা যায়, যাদের একজন নারী।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে আকাশ চৌধুরী। পরে জামায়াতে ইসলামী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এদিকে সকালে নিজের ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আত্মসর্মপন করবে বলে ঘোষণা দেন।