logo
আনোয়ারায় টাকা নিয়ে ভিডব্লিউবি’র চাল বিতরণের অভিযোগ
সংবাদ প্রকাশিত:

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৭ নম্বর সদর ইউনিয়নে সরকারি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির চাল বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মান্নানের বিরুদ্ধে।

উপকারভোগীদের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চক্র শেষে বর্ধিত সময়ের পাঁচ মাসের চাল বিতরণের সময় জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে ‘সঞ্চয়’ ও ‘পরিবহন খরচ’ বাবদ আদায় করা হয়েছে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোনো সঞ্চয় আদায়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম।

জানা গেছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির অধীনে অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীরা প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন। ২০২৩-২৪ চক্র শেষে বর্ধিত সময়ের আওতায় আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ৭৫ জন নারীকে পাঁচ মাসের জন্য মোট ১৫০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। তবে এ চাল গ্রহণের সময় সঞ্চয় ও পরিবহন বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিলপুর গ্রামের উপকারভোগী নুর বেগম বলেন, ‘প্রতিবার চাল নেওয়ার সময় ২২০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে। এবার জরিমানা বলে আরও ১০০ টাকা বেশি নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন এসব টাকা পরিবহন খরচের কথা বলে নেয়।’

একই গ্রামের সুমি গুহ বলেন, ‘আমরা শুনেছি আর সঞ্চয় নেওয়া হবে না। আগে যেটুকু জমা দিয়েছি, সেখানে প্রায় ২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। সেটি ফেরত দেওয়ার কথা বললেও বারবার কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মিনু রানী দত্ত বলেন, ‘সচিব সঞ্চয় বাবদ ২০০ টাকা করে নিয়েছেন।’

তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মান্নানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম বলেন,‘বর্ধিত পাঁচ মাসের চাল বিতরণে সঞ্চয় নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কেউ সঞ্চয় নিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে পরবর্তী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন,‘চাল বিতরণে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’