বাংলাদেশের ভূখণ্ডে দুটি ‘চিকেন নেক’ বা সংকীর্ণ করিডর রয়েছে, যা নিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ—এমন মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
রোববার (২৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বাংলাদেশের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন এবং তাতে দুটি করিডর চিহ্নিত করে ওই মন্তব্য করেন। বিষয়টি সোমবার ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
পোস্টে হিমন্ত শর্মা লেখেন, “ভারতের শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে যারা বারবার হুমকি দেন, তারা যেন মনে রাখেন—বাংলাদেশেও রয়েছে এমন দুটি চিকেন নেক, যেগুলো আরও বেশি স্পর্শকাতর ও ভঙ্গুর।”
তিনি দাবি করেন, “আমি কেবল ভৌগোলিক বাস্তবতা তুলে ধরছি, যা অনেকেই ভুলে যান।”
চিহ্নিত করিডরগুলোর মধ্যে প্রথমটি ‘উত্তর বাংলাদেশ করিডর’, যা ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে শুরু হয়ে রংপুর বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ কিলোমিটার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ করিডরে সমস্যা তৈরি হলে রংপুর অঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
দ্বিতীয় করিডরটি তিনি চট্টগ্রাম করিডর হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সংযোগ রক্ষা করে। মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
হিমন্ত শর্মার মতে, “এই করিডর বিচ্ছিন্ন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগবে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “এই করিডর কৌশলগতভাবে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিচ্ছিন্ন হলে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।” তাই এই অঞ্চল ঘিরে উন্নত রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন তিনি।