ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্থাটি। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথ বা অন্য কোনো পথে সুতা আমদানি চালু থাকবে।
এই প্রজ্ঞাপনটি ২০২৩ সালের ২৭ আগস্টের একটি পুরোনো প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে জারি করা হয় এবং তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ভারত থেকে প্রধানত এই স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমেই সুতা আমদানি করা হতো।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের দাবি তোলে। পরে মার্চে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এক চিঠিতে এনবিআরকে পরামর্শ দেয়, পোশাকশিল্পে দেশে উৎপাদিত সুতা ব্যবহারে উৎসাহ দিতে স্থলপথে সুতা আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপের।
ট্যারিফ কমিশনের ওই চিঠিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী সড়ক ও রেলপথ, স্থলবন্দর এবং কাস্টম হাউসগুলোতে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে সুতা পরীক্ষার অবকাঠামো এখনো প্রস্তুত নয়। তাই এ পরিস্থিতিতে শুধু সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করেই সুতা আমদানি করার সুপারিশ জানানো হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সূত্র জানায়, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সুতার দাম প্রায় একই হলেও ভারতের সুতা স্থলবন্দর দিয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম দামে দেশে প্রবেশ করছে। ফলে দেশি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
জানা গেছে, ভারতের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত সুতা প্রথমে কলকাতায় গুদামজাত করা হয় এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এই সুতাগুলো কম দামে পাওয়া যাওয়ায় অনেক পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান তা ব্যবহার করতে আগ্রহী। এর ফলে দেশীয় বস্ত্রখাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছে বিটিএমএ।