সিরিয়াল ডিঙ্গিয়ে জামিন নিলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী!

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় আসা তার স্ত্রী শারমিন তামান্না হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। তবে ৩১৩ সিরিয়াল ডিঙ্গিয়ে জামিন নেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী!

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চ তামান্নার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে।

হাইকোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ওইদিন আদালতের শুনানির তালিকায় মোট ৫৪৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে তামান্নার মামলার সিরিয়াল ছিল ৪৬৩ নম্বরে। যদিও আদালতে ওই দিন শুনানি হওয়া মামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৩টি।

এর আগে, ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ও চাঁদাবাজিসহ ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

সাজ্জাদ গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী তামান্না একটি ভিডিও বার্তায় ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে’ স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার ঘোষণা দেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে রাষ্ট্রীয় আইন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অবমাননাকর বলেও মন্তব্য করেন।

জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, আদালতের নিয়মিত শুনানির ক্রম ভেঙে দ্রুততম সময়ে তামান্নার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কী যুক্তিতে মামলার সিরিয়াল নম্বর ১৫০-তে শুনানি থেমে গিয়ে হঠাৎ ৪৬৩ নম্বর মামলাটি শুনানি করে মাত্র এক মিনিটে জামিন দেওয়া হলো?

উল্লেখ্য, সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন পর, গত ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় এক ব্রাশফায়ারের ঘটনায় একজন নিহত এবং দুইজন আহত হন। নিহত ব্যক্তি ছিলেন অপর এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী।

এই ঘটনায় নিহত বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়। এছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ, ৬ এপ্রিল চান্দগাঁও থানার ইট ও বালু ব্যবসায়ী তাহসীন হত্যা মামলায় সাজ্জাদের দ্বিতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram