বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে রপ্তানি করেছে ৩ হাজার ৯৮৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার মূল্যমানের পণ্য, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দেশে সুখবর নিয়ে এসেছে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়। রফতানি আয়ে বড় রকমের লাভের আশা করছে বাংলাদেশ। ছাড়িয়ে গেছে গত অর্থবছরের গড়ে তোলা রেকর্ড।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে গত অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। রফতানির বেশির ভাগ আয় এসেছে ম্যানুফেকচার জাতীয় পণ্য (পাথর, সিমেন্ট, স্ল্যাগ, পেট্রোলিয়াম) থেকে। গত মাসে এ খাতে রফতানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছর জুলাইয়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া মাছ, কৃষি ও পাটশিল্পে রফতানি আয় এসেছে যথাক্রমে ৩৬ কোটি ডলার, ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার ও ৬৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এসব পণ্য ছাড়াও রাবার, প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কেমিক্যাল ও হস্তশিল্প রফতানি করে বাংলাদেশ গত অর্থবছরের জুলাইয়ের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
এদিকে নতুন অর্থবছরে রেমিট্যান্সে লেগেছে প্রশান্তির হাওয়া। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার। প্রবাহমান রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের কারণে অর্থখাতে চাপ কমে আসবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।