‘স্বপ্নীল আবাসন, সবুজ দেশ, লাল-সবুজের বাংলাদেশ’—এই স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর ১৬তম আবাসন মেলা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই চার দিনব্যাপী মেলা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক হৃদপিণ্ড। এই শহর বাঁচলে দেশও বাঁচবে, কিন্তু এখনও এটি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে উন্নতির জন্য পরিকল্পিত নগরায়ন ও আবাসন খাতের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “নগরীর আবাসন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন এবং টেকসই, পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আমার লক্ষ্য চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে রিহ্যাবও আমাদের সাথে কাজ করতে চায় আমি তাদের স্বাগতম জানাবো”
রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন জানান, “দেশ ও বিদেশে আবাসন শিল্পের প্রসারে রিহ্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসীরা এই মেলার মাধ্যমে তাদের স্বপ্নের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত রিহ্যাব প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আমিরুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান, বোর্ড পরিচালক আক্তার বিশ্বাস, আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
এবছর মেলায় ৪২টি স্টল রয়েছে, যেখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস এবং অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। মেলা ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
মেলার গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড এবং উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড। এছাড়া ১৪টি কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হলো এরিয়েল প্রপার্টিজ, সি এ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট, ফিনলে প্রপার্টিজসহ অন্যান্য।
মেলায় প্রবেশের জন্য দুটি ধরনের টিকেট পাওয়া যাবে: সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকেট (৫০ টাকা) এবং মাল্টিপল এন্ট্রি টিকেট (১০০ টাকা)। মাল্টিপল টিকেট দিয়ে এক ব্যক্তি ৪ বার মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় আগত দর্শকদের জন্য লটারির মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এটি একটি বড় সুযোগ, যেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে জানতে পারবেন।