নিজের অপকর্ম ঢাকতে নগর জামায়াত আমীর শাহজাহান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. আরমান উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ তুলেছেন আরমানের ফুফাত ভাই আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আদিল।
২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ মো. আদিল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শ্রমিকলীগ নেতা খোরশেদ আলম বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি লোহাগাড়া থানার সাবেক ওসি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় অভিযুক্ত মো. শাহাজানের কালো টাকার ব্যবসায়িক পার্টনার। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সাধারণ একজন আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু ওসি শাহাজান এবং স্থানীয় সাংসদ আবু রেজা নদভীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জায়গা দখল, মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে আজ শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ওসি শাহাজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় খোরশেদ আলমও আসামি। অথচ নিজের অপকর্ম ঢাকতে তিনি জামায়াত নেতার পিএস আরমানের নাম ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলাসহ তার বিরুদ্ধে ৬/৭টি মামলা থাকার পরও একজন চিহ্নিত আসামি কিভাবে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ জবাব চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রবাসী মো. হোসেন বলেন, “৪০ বছরের প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে আমি আমিরাবাদে একটি মার্কেট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু খোরশেদ আলম সেই মার্কেটটি ভেঙে জায়গাটি দখল করেছেন। প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে চারটি এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে ২০টি মিথ্যা মামলায় আসামি বানানো হয়েছে। বৃদ্ধ বয়সে আমি এখন সম্পূর্ণ অসহায়। আমি সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”