সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির গঠন করা তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ চেয়েছেন কমিটির সদস্য সচিবসহ চার সদস্য। এসময় তদন্ত কমিটির পদত্যাগ চাওয়া সদস্যরা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
কমিটির প্রধান, সাবেক মহানগর পিপি ও আইনজীবী আবদুস সাত্তার, জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে সুপারিশ করেন এবং তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এর আগে, কমিটির সদস্যসচিবসহ আরও চার সদস্যও পদত্যাগের আবেদন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান আবদুস সাত্তার বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনায় ১০ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে এর মধ্যে কমিটির সদস্যসচিবসহ চার জন পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর, এবং ইতোমধ্যে সাতটি মামলা হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকতে পারেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস পুলিশের মাইকে প্রিজনভ্যানে থাকা অবস্থায় বক্তব্য দিয়েছেন, এবং এক ঘণ্টার মধ্যে মামলার নকল নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারবেন বলে আমি মনে করি না। এর জন্য জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। তাই আমি নিজেই তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা প্রদান, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস এবং রাজীব ভট্টাচার্য নামের তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
