‘শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট’

দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। এছাড়াও তিনি স্বীকার করেন যে, ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাইব্যুনালকে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সময় গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোন ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক স্বয়ং স্বীকারোক্তি দিয়েছেন- শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।

গণঅভুত্থানের ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছিলেন, ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেবলের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। তার এসব তথ্যও অসত্য ছিলো বলে জানান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল তাকে তদন্ত সংস্থায় পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram