স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: শাহজাহান চৌধুরী

শাহাজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর ও সাবেক সংসদীয় দলের হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত ছিল। স্বাধীনতাকে একটি দলের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ জনগণের উপর নিপীড়ন চালানোর সাহস না করে।’

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ষোলশহর সুপার মার্কেট চত্বরে পাঁচলাইশ থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। হেলালী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে দলটি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে জামায়াত এখনও দৃঢ়ভাবে টিকে আছে। বরং তারাই (আওয়ামী লীগের নেতারা) পুরো দলবল নিয়ে ভারতে পালিয়েছে। এদেশে ইসলাম চিরস্থায়ী, আর ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা একদিন হারিয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সঠিক মূল্যায়ন করতে হলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই জনগণের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই পথচলা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

আলোচনা সভায় পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও শুলকবহর ওয়ার্ড আমীর তাওহীদ আজাদ, থানার শুরা সদস্য সোহেল রানা, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন এবং পশ্চিম ষোলশহর আমীর অধ্যক্ষ কাজী আব্বাস।

বক্তারা স্বাধীনতার সঠিক চেতনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতা কোনো দলের লুটপাটের মাধ্যম হতে পারে না। জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যক্রম স্বাধীনতার চেতনাকে বিকৃত করে। সঠিক নেতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল নিশ্চিত করতে পারি।’

আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালিটি নগরীর ২ নম্বর গেইট থেকে শুরু হয়ে ষোলশহর, শুলকবহরসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুরাদপুরে গিয়ে শেষ হয়।

 

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram