বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকাটি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশিত হয়েছে। এ তালিকা সংশোধন বা সংযোজনের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
শহীদদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিদের তালিকায় থাকা তথ্য যাচাই বা সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোনো মতামত, পরামর্শ বা নতুন কোনো তথ্য থাকলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
তালিকা সংশোধনের জন্য গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া:
১. শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ২. রেজিস্ট্রেশন শেষে শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। ৩. প্রিন্ট করা কাগজের অপূর্ণ ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। ৪. পূর্ণকৃত ফরম সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জমা দিলে, কর্তৃপক্ষ অনলাইনে তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে। ৫. দাখিলকৃত তথ্য সঠিকভাবে হালনাগাদ হয়েছে কিনা তা ওয়েবসাইটে যাচাই করা যাবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো শহীদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হলে, উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।