দেশে চলতি মাসে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আয়লা এবং আম্ফানের মতো ক্ষতি হতে পারে রেমালে।
‘রেমাল’ নিয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছে ভারতের দিল্লির আবহাওয়া দফতর ‘মৌসম ভবন’। তারা বলছে, ২৫ মে-র পর যে কোনো সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। আঘাত হানতে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে।
দিল্লির মৌসম ভবন বলছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কার্যক্রম তৈরি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই, যা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
তবে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছু জানাতে পারেনি বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে সার্বক্ষণিক।
অন্যদিকে মৌসম ভবনে জানিয়েছে, আগামী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৪ মে-র পর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরে সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা এগিয়ে যেতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। এখন প্রশ্ন হলো: সেটি কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে? ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আছড়ে পড়বে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত যদি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-সংলগ্ন আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মিয়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ, যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না।