সুন্দরবনে আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার

সুন্দরবন

সুন্দরবনের লাগা আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। আগুন লাগার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম বলেন, রোববার সকাল থেকে সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বনরক্ষীরা কাজ শুরু করেন। নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক সদস্যদের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটিয়েও আগুন নিভানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। আগুন যাতে বিস্তৃত হতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯ টা থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এসময় নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির ১০ সদস্যের একটি অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দিয়ে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটেন। আগুন নেভানোর কাজ এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

নৌবাহিনীর মোংলা দিগরাজ নৌ ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরাফাতুল আরেফিন জানান, আগুন কিভাবে লেগেছে তার কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে আগুন নেভানো এখন জরুরি। তাই সকাল থেকেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্মিলিতভাবে সবাই কাজ করে যাচ্ছি। এখন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, রোববার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নিভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, শনিবার (৪ মে) নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে রোববার সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

আগুন ব্যাপক এলাকা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলেও জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, কী কারণে, কিভাবে এবং আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram