চার দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে কয়েকশত ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসককে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী বলেন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণ, বিএসএমএমইউর অধীনে ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের আবাসিক ও অনাবাসিক চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু করা এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের দাবিতে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি।
এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করে চার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতারা।
এ সময় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তোমাদের কাজটা হাতে নিলাম। কাল বা পরশু সময় করে একটি মিটিং করব বিষয়টি নিয়ে। যত দ্রুত সমাধান করা যায় সেটি আমি করব। এরপর তোমাদের জানাব।
এরপর, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কোনো ধরনের আশানুরূপ ফলাফল না আসায় পরবর্তী পাঁচ দিন (২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি (ক্যাজুয়ালিটিসহ) ও কর্মসূচি ঘোষণা করে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন।
যে চারটি দাবিতে যৌথ আন্দোলন করছেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা:
১। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।
২। পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩। ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।
৪। অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।