বিশ্ব ইজতেমায় ১০ জনের মৃত্যু

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে ১০ জনের মৃত্যু হলো। বার্ধক্যজনিত, দুর্ঘটনা এবং বিভিন্ন রোগ অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান।

গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দিন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়দানে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়। এর আগে প্রথম দিন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়।

রাত থেকে মারা যাওয়া তিন মুসল্লি হলেন: শেরপুরের সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণার সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।

আর গতকাল রাত পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লি হলেন- নেত্রকোনা জেলার কুমারী বাজার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।

ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া দুই জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০)।

অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমায় দায়িত্ব পালনের জন্য আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের একজন এএসআই নিহত ও একজন এসআই গুরুতর আহত হন। শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এএসআইয়ের নাম হাসানুজ্জামান (৩০)। একই দুর্ঘটনায় আহত এসআই আমীর হামজাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা উভয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ থেকে ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram