খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,খুনিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন তারা চুপ কেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন চুপ কেন? তাদের মানবিক বোধগুলো গেল কোথায়? দেশের বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেন?

ব্রাসেলস সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এক সাংবাদিক জানতে চান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্বাচন নিয়ে শর্তহীন সংলাপে বসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলের সঙ্গে। কোন বিরোধী দল? বিরোধী দলটা কে? সংসদীয় নিয়মে বিরোধী দলের একটা ব্যাখ্যা আছে। বিরোধী দল হচ্ছে, সেই দল যাদের সংসদে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এর বাইরেরগুলো পরিগণিত হয় না। আমেরিকায়ও হয় না। ট্রাম্পকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কী বলবে? যদিও আমরা তাদের মতো সরকার ব্যবস্থায় নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, এই যে মানুষগুলোরে হত্যা করা হলো, তাকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) একটা প্রশ্ন করা হলো না কেন- যখন উপনির্বাচনে একটা ঘটনা ঘটেছে, হিরো আলমের ওপর হামলা, বিচার চাইল। এখন পুলিশ হত্যা করল, এতগুলো সাংবাদিককে মারল, তারা এটার বিচার দাবি করল না কেন?

শেখ হাসিনা বলেন, খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের আলোচনা? যারা মানুষের সম্পদ নষ্ট করেছে, যারা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নষ্ট করেছে। সে বসে বসে ডিনার খাক (মার্কিন রাষ্ট্রদূত), ডায়ালগ করুক। এটা আমাদের দেশ, আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে।

তিনি বলেন, আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এ কথাটা মনে রাখা দরকার। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ এটা আমাদের বাংলাদেশের মানুষও চাইবে না। বরং বাংলাদেশের মানুষ এখন বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করে। তারা যেটুক অর্জন করেছে, সেটাও তারা হারিয়েছে। এখন মানুষের কাছে তারা ঘৃণার পাত্র, দুর্নীতিবাজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দুর্নীতির জন্য কানাডা থেকে লোক এসে সাক্ষ্য দিচ্ছে।

 

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram