শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। এটি আওয়ামী লীগের একটি অর্জন। আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম তার প্রমাণ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিল গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা এই পেনশন পাবেন না। কারণ, তারা তো চাকরি শেষে কিছু টাকা পান, কিন্তু এর বাইরের জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশন পাবেন। সমাজের সবারই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা উচিত। সেজন্যই সর্বজনীন স্কিম। এর মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রস্তুত করতে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। দেশের সব মানুষের জন্য এই পেনশন স্কিম চালু করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ। ইতোমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, ঠিকানাবিহীন মানুষের সংখ্যা কমছে।
মোট ৬টি স্কিমের মধ্যে আজ চারটি স্কিম চালু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকিগুলো সুবিধাজনক সময়ে চালু করা হবে। এর আওতায় ১৮-৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়সের কেউ ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন স্কিম ভোগ করতে পারবেন।
মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েন, যখন কর্মক্ষমতা থাকে না। তখন এই পেনশন খুব কাজে দেবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, বৃদ্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় ছেলেমেয়েরাও দেখতে চায় না। এখন আর সেই অবস্থা থাকবে না। যারা বয়স্কভাতা পান না। তারাও এই সর্বজনীন পেনশন এর সুবিধা পাবেন। আর কারো কাছে হাত পেতে কারো ঝাড়ি খেতে হবে না।
এসময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা। দেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে না দেয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, দেশের মানুষই আমার আপনজন। এই চিন্তা থেকেই দেশ পরিচালনা করছি। বাবার রেখে যাওয়া কাজ যাতে সম্পন্ন করে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে পারি। সেই দোয়া চাই সবার কাছে। দেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না; ব্যর্থ হতে দেয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক-মোবাইল-নগদ সব পদ্ধতিতেই এই পেনশন স্কিম এর লেনদেন করা যাবে। এই স্কিমের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান আরো উন্নত করতে পারবেন।