কক্সবাজারে গায়েবানা জানাজা ঘিরে সংঘর্ষ: ৬ মামলায় আসামি ১২ হাজার

কক্সবাজারে জামায়েত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ৬ মামলায় জামায়েত-শিবিরের ১২ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এ ৬ টি মামলায় ৪৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ হাজার ৯শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের ৫ টি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাছে বাধা দেয়ার দায়ে। নিহতের স্ত্রীর মামলাটি হত্যা মামলা।

বুধবার রাত ৮টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াস মিয়া স্কুল সংক্রান্ত পুলিশের সঙ্গে জামায়াত সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানাজা শেষে ঘরে ফিরে যেতে বললে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২২শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার বাদী ও আসামির নাম প্রকাশ করতে রাজী নন তিনি।

তবে কক্সবাজার সদর থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ৩ টি মামলা হয়েছে। এতে ২ টি মামলার বাদী পুলিশ। অপর মামলাটির বাদী নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলা ২ টিতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে। নিহতের স্ত্রীর মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। আড়াই হাজার জন অজ্ঞাত আসামি।

এক্ষেত্রে এসপি পুলিশের মামলার বাদী নাম প্রকাশ করেননি। তবে চকরিয়ার থানার সূত্র বলছে, এ ২ টি মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান।

এসপি জানিয়েছেন, পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২ টি মামলা করেছেন। যেখানে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে মোট ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ ২ টি মামলা দায়ের করেন।

পেকুয়া থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা ২ টি প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু। উল্লেখদের মধ্যে বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালামের নাম রয়েছে। তবে এ ৬ টি মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখায়নি পুলিশ।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram