ফেইসবুক লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৯ মে) মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন পলক। মুক্তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৩ মে ফেসবুকে লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন মুক্তা সুলতানা। এরপরই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, এছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি গণমাধ্যম ভিডিওটি প্রচার করে। ঘটনাটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দফতরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
মুক্তা কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনা করেছেন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে। ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সহানুভূতির কারণে আমি চাকরি পেয়েছি। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন তা এখনো তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে তিনি জানান।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।