বাকলিয়ায় শুঁটকির হিমাগারে বিস্ফোরণ, আহত ৪

নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় একটি শুঁটকির হিমাগারে (কোল্ড স্টোরেজ) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর হিমাগাড়টিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দেয়াল ধসে চারজন আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে থানার রাজাখালী এলাকায় জনতা কোল স্টোরেজ নামে একটি ৪ তলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন—মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো. মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২)। তবে তাদের নাম পাওয়া গেলেও ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ বিকট শব্দে আশপাশের বিভিন্ন ভবন কেঁপে ওঠে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে লোকজন বাসাবাড়ি থেকে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসেন। তবে পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে আগুন ও বিস্ফোরণের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের লামার বাজার, নন্দনকানন ও আগ্রাবাদ স্টেশনে ৭টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের ধরন দেখে ধারণা করছি বিকট শব্দ হয়েছে। আর তা রাতের বেলা হওয়ায় অনেক দূরে শোনা যেতে পারে। বিস্ফোরণে চারতলা ভবনের দুই দিকের দেয়াল ও তিনটি কলাম ভেঙে গেছে। তবে ভবনটি অনেক বড় ও মজবুত হওয়ায় ধসে পড়েনি। এতে ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল।

অব্যবস্থাপনা, ত্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডার ও গ্যাস লাইনে ত্রুটি তিনটির মধ্যে যেকোনো কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছি প্রাথমিকভাবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে-যোগ করেন এক কর্মকর্তা।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক জানিয়েছেন, রাজাখালী এলাকা থেকে আহত অবস্থায় মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো. মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২) নামে চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram