এক ব্যক্তির ‘তিন কাবিননামা’ তৈরির কারিগর পিবিআই’র জালে

তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে মিলে বিয়ের কাবিননামা। দীর্ঘদিন থেকে মানুষকে এভাবে কাবিননামা বানিয়ে দিতেন তারা। কাবিননামায় দিতেন কাজির সাক্ষর,নোটারি পাবলিকের শীলসহ সবকিছু। পিবিআইয়ের কয়েকজন সদস্যও গিয়েছিলেন সেই কাবিননামা কিনতে। তবে এটা ছিল তাদের শেষ বিক্রি। বিক্রি করতে গিয়েই ধরা পড়লেন পিবিআইয়ের জালে।

ভুক্তভোগী এক নারীর কাবিননামায় ৮ লাখ টাকা দেনমোহরের বিপরীতে বরপক্ষ প্রথমে ১ লাখ ১ টাকা ও পরবর্তীতে ৩ লাখ দেনমোহর বিশিষ্ট কাবিন নামা আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই তদন্তে কাবিননামা জালিয়াতির সত্যতা খুঁজে পায় পিবিআই। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে আটটায় নগরীর হালিশহর থানাধীন বড়পোল এলাকার নবাব রেস্তোরা ও সদরঘাট থানাধীন সিটি কলেজ এলাকার সিটি কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাট দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বন্দর থানার ইসহাক ডিপো এলাকার মৌলবী অসি উদ্দিন বাড়ির মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মো. মঞ্জুর আলম প্রকাশ বাপ্পী ও চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার রবীন্দ্র দাশের পুত্র টিপু দাশ। এসময় জাল কাবিননাম তৈরির কাজে ব্যবহারিত কম্পিউটারের সিপিইউটি জব্দ করা হয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জাল কাবিননামা তৈরীর সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, একটি সিন্ডিকেটের সহায়তায় দীর্ঘদিন জাল কাবিননামা তৈরী এবং গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে আসছে। কাবিননামা জালিয়াতিতে জামাল উদ্দিন নামে এক কাজীর সহযোগী আজাদ সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে বলেও জানায় তারা। টিপু দাশ তার দোকানের কম্পিউটার ও সিপিইউ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন জাল কাবিননামা ছাপিয়ে আসছে। কাবিননামা জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সিপিইউটি জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram