অবৈধ ইটভাটার প্রভাবশালী মালিকদের দৌরাত্ম্য কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা। ফলে মারাত্নক ক্ষতির মুখে বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ।এসব বন্ধে হাইকোর্ট থেকে রায় আসলেও এখনো প্রশাসনের কার্যত কোন পদক্ষেপ দেখা যায় বি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ততা অবৈধ ইট ভাটা বন্ধে প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি চন্দনাইশে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে এক অনুসন্ধানে গিয়ে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন ( বিএইচ আর এফ) এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান এসব তথ্য জানান।
এদিকে,সংশ্লিষ্ট ইটভাটার মালিকদের চন্দনাইশ শাখার সভাপতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করে বলেন,তাদের ইটভাটা গুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। বিশেষ করে আশেপাশের যতদুর দেখা যায় ধুলো-ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন গাছপালা। আম্র মুকুল গুলোতে ধুলোর আস্তরণ পড়েছে। কোনটা কোন গাছ চেনা দায়।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি ও পরিবেশবাদী সংস্থার অনুসন্ধানে জানা যায়, মেসার্স শাহ আলী রজা (র:) ব্রিকস ম্যানু: এর এস এ বি( SAB) নামে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ ব্রিক ফিল্ডের নানান অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে। । এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আমিন উদ্দিন আহমেদ রোকন বলে জানা গেছে।রোকনের লোকজন সবসময় পুরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পাহারা বসিয়ে রাখে। আইন শৃংখলা বাহিনী কখনো অভিযানে আসলে আগেভাগেই যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলে। সংবাদকর্মীদের কাজে বাধা প্রদান করেন।
বিএইচ আর এফ এর তথ্যঅনুসন্ধান টিম ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,এই অবৈধ ধ্বংসাত্মক কাজে স্থানীয় দুই একজন জন প্রতিনিধি জড়িত।
অনুসন্ধানী টিম উল্লেখ করে যে,মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত ১লা মার্চ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ দুষণ নিয়ন্ত্রণ শাখা ১ থেকে মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর এক পরিপত্রে ( নং২২০০০০০০০৭৫.৩২.০০৪.১৯) অধিক ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টিকারী ইটভাটাসমুহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলা হলেও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর এবং আশেপাশের এলাকায় অনুমোদনহীন অবৈধ সর্বনাশা ইটভাটার করাল গ্রাসে মাইলের পর মাইল ধ্বংস হচ্ছে দেশ বিখ্যাত কাঞ্চননগরের পেয়ারা এবং লেবু আনারসের অভয়ারণ্য।
এ বিষয়ে জানতে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমের মুঠোফোনে এই প্রতিবেদক, কথা বলতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কল করবেন বলে কল কেটে দেন।
তবে, চন্দনাইশ এসি ল্যান্ড জিমরান মোহাম্মদ সায়েক জানান, তিনি নতুন যোগ দিয়েছেন, পরিপত্র তাঁর হাতে পৌছেনি।মেসার্স শাহ আলী রজা (র:) ব্রিকস ম্যানু: এস এ বি সহ অন্যান্য অবৈধ ব্রিক ফিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই সব দেখাদেখিতে ,নির্লিপ্ততায় তথাকথিত জনপ্রতিনিধি নামধারীরা ঐতিহ্যবাহী এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ নষ্ট করছে বলে দাবি সচেতন মহলের।