ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এটি (অ্যান্টিবায়োটিক) বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। একসময় দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতো। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।’

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট অব ইনিওস ইনস্টিটিউটের অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল রিসার্চের পরিচালক প্রফেসর টিমোথি ই ওয়ালশের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ‘চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সব স্থানেই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎ শেষে টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বে একটি মহামারি আকারে আবির্ভূত হয়েছে। এখনই যদি এটা বন্ধ করা না হয়, তবে ভবিষ্যতে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রফেসর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এর কারণে লাখো মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।এ সময় তিনি এএমআর বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, হৃদ্‌রোগ, বক্ষব্যাধি, ক্যানসার ও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতে সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি, মৌলিক বিজ্ঞান ও ওষুধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের ব্যাপারে তিনি বলেন, বৃত্তি-উপবৃত্তি দেয়ার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা, বিশেষত পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ও গবেষণা ক্ষেত্রের জন্য ২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে।

বৈঠককালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু-আইওআই ফেলোশিপের অধীন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও মৌলিক বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার জন্য স্কলারশিপ প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন। এর জবাবে, প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে এই ফেলোশিপের ব্যাপারে তার সম্মতি প্রকাশ করেন।

এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ককাসের সঙ্গে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারিত্বের একটি প্রস্তাবও দেন টিমোথি ই ওয়ালশ এবং প্রধানমন্ত্রী এতে ইতিবাচক সাড়া দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram