গার্মেন্টসকর্মী ও শ্রমিকদের জন্য সন্ধ্যাকালীন স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে চাই: মেয়র

গার্মেন্টসকর্মী ও শ্রমিকরা দিনে কাজে ব্যস্ত থাকে বিধায় তাদের জন্য রাতে মেডিকেলসেবা চালু করতে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধি দলের সাথে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের বিষয়ে আলাপকালে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক ও গার্মেন্টসকর্মী কাজ করেন যারা দিনে ব্যস্ত থাকায় চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে পারেননা। আবার, আর্থিক সংকটে থাকায় বেসরকারি হাসপাতালেও তারা সেবা নিতে পারেননা। সমাজের পিছিয়ে পড়া এই মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রাত্রিকালীন স্বাস্থ্যসেবা চালু করতে চাই। বিশেষ করে চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ শিল্পঘন এলাকাগুলোতে দ্রæতই রাত্রিকালীন স্বাস্থ্যসেবা চালু করব।

“এডিবি আর্থিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসলে চসিকের আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সংখ্যা ও সেবার পরিধি বৃদ্ধি সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রসূতি মায়েদের প্রাণরক্ষার পাশাপাশি নবজাতকদের যথাযথ সেবা দিয়ে আগামীর প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আর্থিক সংকটের কারণে কেউ স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে মারা যাবে এমন অমানবিক পরিস্থিতি এড়াতে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আরো বেশি চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে বন্দরটিলা হাসপাতালে চসিকের নিজস্ব ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে শ্রমজীবীদের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়িয়েছি, সংস্কারের মাধ্যমে মেমন হাসপাতালে এখন আরো মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করেছি।”

এডিবির হেলথ স্পেশালিস্ট রুই লিউ বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পায়না। এক্ষেত্রে এডিবি আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে।

“চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। চসিক মেয়রের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে শিল্প এলাকাগুলোতে রাত্রিকালীন স্বাস্থ্যসেবা চালুর পাশপাশি মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাসে এডিবি সহায়তা বৃদ্ধি করবে।”

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, চসিক পরিচালিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো গত বছর সাড়ে আট লক্ষ লোককে সেবা দিয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৭৫ লক্ষ লোককে করোনার টিকা দিয়েছে। এডিবি এগিয়ে আসলে চসিক বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই আরো বেশি মানুষকে সেবা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে নতুন লোকবল নিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত চসিক।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, এডিবির সহযোগী প্রকল্প বিশ্লেষক (শিক্ষা) ফাইজা আহাদ, তানিয়া ফেরদৌস, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. তানভির হোসেন, আরবান ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স কো-অর্ডিনেটর মো. জাইদি হাসান খান।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram