logo
‘দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সেই সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে’
সংবাদ প্রকাশিত:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ পাকিস্তান হবে নাকি মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর হবে সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী নির্বাচনে।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা ২৫ টি দেশকে পেছনে ফেলে এখন ৩৫ তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। এই ৩৫ টি দেশের মধ্যে অর্থনীতির আকারে জিডিপিতে আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলেছি। আর পিপিপিতে আমরা পৃথিবীতে ৩১ তম অর্থনীতির দেশ।

মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, এখন মানুষের মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারের কাছাকাছি। ১৪ বছর আগে আমরা সব সূচকে পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম, আজ থেকে ৬ থেকে ৭ বছর আগে সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। করোনা মহামারীর মধ্যে অর্থনৈতিক সূচকে মাথাপিছু আয় এর ক্ষেত্রে ভারতকে অতিক্রম করেছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটি নির্বাচনের বছর, সাংবাদিকরা জনমত গঠন করে, মানুষের মনন তৈরি করে। আগামী নির্বাচন দেশের জন্য এবং জাতির জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ সেই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি চলমান সেটি অব্যাহত থাকবে কিনা। নাকি দেশ আবার পশ্চাৎপদ হবে।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন রেজা।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক ও মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেল খান, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে উপমহাদেশের কোন দেশে এভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়না। করোনাকালীন সময়ে বিশেষ তহবিল গঠন করে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়েছে সেটিও উপমহাদেশের কোন দেশে করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা প্রসূত একটি প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব নেত্রী। তাঁর সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। সে কারণেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব ঐচ্ছিক তহবিল থেকে মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের সহায়তা করে থাকেন।