আদালত থেকে আসামী পালানোর ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে শামসুল হক বাচ্চু নামে মাদক মামলার এক আসামি। এ ঘটনায় ৭ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানা যায় রোববার দিবাগত রাতে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার নগরীর কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলায় একমাত্র আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চু (৬০)। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি।

জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া শামসুলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার কালীরবাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত রহমত আলী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাচ্চুকে আদালতে পাঠানো হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামি বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেন। পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর জন্য হাতকড়া লাগানো হয়। এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসতে দেয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়ার ফাকে বাচ্চু পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কোন ধরনের অবহেলা থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram