পদ্মার পাড়ে বনভোজনে গিয়ে নদীতে সাঁতারত দুই সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে লাশ হলেন বাবা-মা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর একদিন আগে পদ্মায় ডুবে রূপণের স্ত্রী মাঞ্জুরী তানভীর নিশির মৃত্যু হয়। মৃত নিশি ও রূপণ দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীমন্তপুর এলাকায়।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ওই দম্পতি দুই সন্তান ও পরিবারের প্রায় ৪৫ জন সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পদ্মার বালুগ্রাম চরে বনভোজন করতে যান। দুপুরে তাদের দুই সন্তান পদ্মায় গোসলে নেমে ডুবে যেতে শুরু করলে রূপণ ও নিশি তাদের বাঁচাতে নদীতে নেমে পড়েন। সন্তানদের বাঁচাতে পারলেও স্বামী-স্ত্রী পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় মাঝিরা নিশিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কাদের রূপণকে খুঁজে পায়নি। শনিবার সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। রূপণ উত্তরা ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দুপুর নাগাদ ওই ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’