ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। পরে মেসির অসাধারণ পাস থেকে জোড়া গোল করেন আল্ভারেজ। এর পর ক্রোয়েটরা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ফ্রান্স-মরক্কো ম্যাচের জয়ী দল ১৮ তারিখ ফাইনালে লড়বে স্কালোনির শিষ্যরা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে গত আসরের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে দুই দল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগটি পেয়েছিলো আর্জেন্টিনা। তবে ডি বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের শট আটকে দেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।

খুব বেশিসময় অবশ্য আর্জেন্টিনাকে আটকে রাখতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা। ম্যাচের ৩২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পান জুলিয়ান আলভারেজ। তাকে আটকাতে ফাউল করে বসেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নিতে একটুও ভুল করেননি মেসি। দুর্দান্ত এক শটে ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন মেসি। এই গোলেই বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেলে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ ১১ গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি। আর চলতি বিশ্বকাপে এই নিয়ে মেসির এটি পঞ্চম গোল।

এর গোলের মিনিট পাঁচেক পরেই আবারও ক্রোয়েটদের জালে বল পাঠিয়ে আর্জেন্টাইনদের উল্লাস। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে বল পান আলভারেজ। দুরন্ত গতিতে বল নিয়ে ক্রোয়েট ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে ক্রোয়েশিয়ার জালে নল জড়িয়ে উল্লাসে মাতান সাদা-আকাশি শিবিরকে।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোল না হলে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে এক পা দিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে। এর মধ্যেই মেসি-আলভারেজ জুটির দুর্দান্ত কম্বিনেশনে আরও এক দুর্দান্ত গোল পেয়ে আলবিসেলেস্তারা।

ম্যাচের ৬৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একা ডি-বক্সে ঢুকে ক্রোয়েট ডিফেন্ডার ভার্ডিওলকে কাটিয়ে আলভারেজকে পাস দেন মেসি। সেই পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আলভারেজ।

ম্যাচের বাকিটা সময় লিড বাড়ানোর চেষ্টা করে গেছে আলবিসেলেস্তারা। তবে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ গোলে জিতেই ফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram