আস্থা নির্মাণে গৌরবোজ্জ্বল ২০ বছর উপলক্ষে আজ চট্টগ্রামে ‘সাইকেল র্যালির’ আয়োজন করেছে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড। এতে একদল কিশোর-কিশোরী এ র্যালিতে অংশ নেয়। র্যালিটি এপিক কর্পোরেট অফিস থেকে কাজিরদেওরী-সি আর বি ঘুরে আবার এপিক কর্পোরেট অফিস এসে শেষ হয়।
এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড-এর স্বপ্নের যাত্রাটা শুরু হয়েছিলো ২০ বছর আগে, স্বপ্ন গড়ার লক্ষ্যে ৩ জন তরুন প্রকৌশলীর উদ্দ্যোগে । মূলত, যাত্রাটা তারও বছরখানেক আগে । স্বাধীনতার কয়েক দশকের ব্যবধানে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সারথি হয়ে যাত্রা শুরু করে এপিক ইঞ্জিনিয়ার্স এন আর্কিটেক্টস। ২০০৩ সালে আবাসন খাতে উদ্যোক্তা হিসাবে পথচলা শুরু হয় এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড তার গ্রাহকদের চাহিদা আর সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে স্বপ্নের আবাসন নির্মাণে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এক এক করে ৬০ এর অধিক আবাসিক ফ্ল্যাট এবং বানিজ্যিক স্পেসের প্রকল্প নির্মান করেছে। এই ২০ বছরের পথচলায় গ্রাহকের আস্থা আর সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়েছে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড। অর্জন করেছে দেশ সেরা আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি।
এই সূদীর্ঘ পথচলার মূল নেপথ্যে ছিল স্বপ্ন বাস্তবায়নের সঠিক পরিকল্পনা, সময়োপযোগী নির্মাণ শৈলী এবং উন্নত, সঠিক ও সেরা মানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার। গ্রাহকের চাহিদাকে প্রাধান্যে রেখে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করাই ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য। অনেক প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে সাহস এবং দুঃসাহসে অটল থেকে স্বপ্ন বিনির্মাণে ছিলাম অবিচল। হয়ত প্রাপ্তি আর আশার জায়গায়টায় মাঝে মধ্যে সামান্য তারতম্য ঘটেছে। তবে সব পরিস্থিতিতেই আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতির জায়গায় অটল তারই উদাহরণ ছিলো, ২০২০ এ বিশ্ব মহামারীর মত প্রতিকূল সময়েও আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রাহকদের অ্যাপার্টম্যান্ট হস্তান্তর করেছি। গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের সম্মান আর বিশ্বাসের সর্বোচ্চ গুরুত্বে আমরা ছিলাম অবিচল ।
সূদীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড প্রায় দুই হাজার পাঁচশত এর অধিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ভূমিকম্প সহনীয় এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ১০০ ভাগ অনুসরণ করে নির্মান করা হয়েছে। যা আমাদের সম্মানিত গ্রাহদের মাঝে আস্থার প্রতীক হিসাবে স্বীকৃত। দেশের অন্যতম আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে আমাদের প্রধান প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে কন্টিনিউয়াল ইমপ্রুভম্যান্ট।
দেশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় এপিক পরিবার শুধু আবাসন নির্মাণেই সীমাবদ্ধ না থেকে, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে এপিক ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা জেনে খুশি হবেন, এপিক হেলথকেয়ার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত ল্যাব গাইডলাইন ISO 1589:2012 অ্যাক্রিডিটেশন প্রাপ্ত চট্টগ্রামের প্রথম ও একমাত্র সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দুর্যোগ ও মহামারীর সময় আমরা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। এই ব্যাপারে আপনারা অবগত আছেন। এছাড়া এপিক ডেইরী, এপিক এনার্জি সহ বিভিন্ন খাতে এপিক অবদান রেখে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছরে এপিক তার অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এপিক রেডিমিক্স এন্ড কনক্রিট প্রাইভেট লিঃ, বিডকো এবং এপিক ইঞ্জিনিয়ার্স এন আর্কিটেক্টস।
সামনের দিনগুলোতে আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকের আধুনিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক জীবনের কোলাহলমুক্ত নির্মল বিশুদ্ধ পরিবেশ নিশ্চিত করতে। সেই লক্ষ্যেই এপিক প্রপার্টিজ নির্মাণ করছে কিছু নতুন প্রকল্প। খুব শীঘ্রই এইগুলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। নির্মাণ শৈলীর পাশাপাশি এই প্রকল্পগুলোতে থাকছে আধুনিক সব ফিচারস ও ফিটিংস। স্মার্ট হোমস সল্যুশনের মতো অত্যাধুনিক টেকনোলজি ইতিমধ্যে আমরা গ্রাহকের ফ্ল্যাটে সংযোজন করেছি। এর মাধ্যমে তারা অনলাইনে বসেই ফ্ল্যাটের লাইট, ফ্যান, দরজাসহ প্রায় সব কিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। শীঘ্রই আধুনিক প্রযুক্তির আরও নতুন নতুন সংযোজন উপভোগ করতে পারবেন আমাদের গ্রাহকরা।
বিগত ২০ বছরে আস্থা নির্মাণে সাফল্যের পর এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড স্বপ্ন দেখছে এক আধুনিক পরিবেশবান্ধব দেশ গড়ার । প্রকৃতির অনন্য সবুজের সমারোহে ইউনিক সব লাইফস্টাইলের সমন্বয়ে এপিক প্রপার্টিজ লিঃ তার প্রজেক্ট গুলো নির্মাণ করছে। ভবনের প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্ট সবচেয়ে আধুনিক ডিজাইন ও নান্দনিক ফিটিংসে তৈরি। বিল্ডিং নির্মাণে সংযোজন করেছে গ্রিন বিল্ডিং এবং রেইন ওয়াটার হারবেস্টটিং এর মতো প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা সহ নিরাপদ সব পদ্ধতি। সাথে আছে আন্তর্জাতিক মানের সব অ্যামেনিটিজ ও ফ্যাসিলিটিজ, যা গ্রাহকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা।