‘অনেরা ক্যান আছন, গম আছন নি’ জনসভায় ভাষণের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এভাবে কথা বলে চট্টগ্রামের মানুষের অনুভূতি জানতে চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পরপরই চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এসময় ফুল ও করতালির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করি, আর বিএনপি মানুষ খুন করে। এই চট্টগ্রামে বিএনপি বারবার বোমা ও গ্রেনেড মেরেছে। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ারা পারে মানুষ হত্যা করতে। আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণ শান্তিতে থাকে। বিএনপির দুইটা গুণ আছে- ভোট চুরি আর মানুষ খুন।’
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছাড়া বিএনপি কিছুই দিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিমানবাহিনী-সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের মৌলবি সৈয়দকে তুলে নিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এ রকম আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ঠিক একইভাবে খালেদা জিয়াও তার আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। অনেক লাশ গুম করেছে। আমি তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এই চট্টগ্রামের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সারা দেশেই এই তাণ্ডব চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া অন্যকিছু দিতে পারে না।
জনসভা মঞ্চে উঠে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভার মঞ্চ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। ৮৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৬০ মিটার লম্বা এই মঞ্চে একসঙ্গে ২০০ অতিথি বসার ব্যবস্থা রয়েছে।