প্রবাসীদের পাঠানো আয় গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। নভেম্বরে প্রবাসীরা মোট ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। অক্টোবর মাসে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। আর গত বছরের নভেম্বরে প্রবাসীরা ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। ফলে প্রবাসী আয় যেভাবে কমতে শুরু করেছিল, সেই ধারা কিছুটা ঘুরতে শুরু করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে ১৫ মাস ধরে কমছে রিজার্ভ। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। আমদানি দায় মেটাতে ডলার বিক্রির কারণে তা কমে ৩৪ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে।
ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় দেশে আনতে এখন প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দিচ্ছে। আর রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলারের দর ধরা হচ্ছে ১০০ টাকা এবং আমদানিতে ডলারের দর পড়ছে ১০৫-১০৬ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে বৈধপথে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় পাঠায়। প্রবাসী আয়ের এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ কোটি ১৪ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস প্রবাসীরা বৈধপথে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছিলেন। গত জুলাই মাসে তাঁরা পাঠান ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসে প্রবাসী আয় কমে যায়।