চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় খুন হওয়া শিশুর আয়াতের খন্ডিত দেহের অংশ বিশেষ মিলেছে সাগরপাড়ে স্লুইজ গেইট এলাকায়। সাগরপাড়ে পাওয়া অংশকে পায়ের অংশ বিশেষ বলে জানিয়েছে পিবিআিই।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআইয়ের এক পরিদর্শক।
তিনি বলেন, নির্মম হত্যার শিকার শিশু আয়াতের পায়ের অংশ পেয়েছে আমাদের টিম। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজিড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে আবিরকে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানায় মুক্তিপনের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে পানিতে ফেলে দেয়।
পেশায় পোশাক কারাখানার শ্রমিক আবির এক সময় আয়াতের দাদার বাড়িতে ভাড়া থাকতো । ১৯ বছর বয়সী এ যুবক বর্তমানে ওই এলাকার আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকে।
ইতোমধ্যে আবিরকে পিবিআই প্রথমে দুই দিন এবং দ্বিতীয় দফায় সাত রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল (২৯ নভেম্বর) তার মা-বাবা দুইজনকে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পিবিআই আবীরের বাসা থেকে একটি ডায়েরি জব্দের কথা জানায়। ডায়েরিতে প্রেম-বিরহ, নারী বিদ্বেষ, বড়লোক হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, কোরিয়ান সংগীত দল বিটিএস প্রেমি মেয়ের নিয়ে কটাক্ষ করে নানান লেখা রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ওই লিখা তার হাতের কিনা তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।