ভারতে মারা গেলো চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নুরনবী ম্যাক্সন ভারতে মারা গেছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র চট্টগ্রাম খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ম্যাক্সনকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণার বারানগর থানার ডানলপ এলাকা থেকে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার জাহানপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে ম্যাক্সন ওই এলাকায় তমাল চৌধুরী নামে বসবাস করে আসছিলো। হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ২২ মামলার আসামি ম্যাক্সনকে বাংলাদেশ পুলিশ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাক্সন মারা যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমরা বিস্তারিত খবর নিচ্ছি।
ম্যাক্সনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলেও মৃত্যুর কারণ একাধিক সূত্র ভিন্ন ভিন্ন কারণ বলছে। একটি সূত্র বলছে নারীঘটিত কারণে ম্যাক্সনকে খুন করা হয়েছে। আরেকটি সূত্র বলছে ম্যাক্সন আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর কারণ যাই হোক, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী মারা গেছেন এটি নিশ্চিত।
চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে মানিকজোড় হিসেবে পরিচিত ম্যাক্সন ও সারোয়ার ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে কাতার চলে যায়। কাতারে বসে দেশীয় অনুসারীদের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো।
কাতারে মারামারিতে জড়ালে সে দেশের পুলিশ তাদের কাতার থেকে বের করে দেয়। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে আসলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয় সারোয়ার। তবে ম্যাক্সনের অবস্থান ছিল রহস্য ঘেরা। অবশেষে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তার অবস্থান সনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামের আলোচিত তিন পুলিশ অফিসার মহিউদ্দীন সেলিম (সাবেক ওসি কোতোয়ালী), মো. কামরুজ্জামান (সাবেক ওসি বায়েজিদ) ও জহির হোসাইনের (সাবেক ওসি আকবরশাহ) নেতৃত্বে ২০১১ সালের ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ম্যাক্সন ও সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সময়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে গিট্টু মানিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
তথ্যসুত্রঃ চট্টগ্রাম খবর