২০ বছর পর শেষ ষোলো নিশ্চিত করল সেনেগাল

দীর্ঘ ২০ বছর পর শেষ ষোলো নিশ্চিত করল সেনেগাল।পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাই গোল করার তাড়না ছিল চোখে পড়ার মতো।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে শুরুতে এগিয়েও গেল সেনেগাল। পরে এক গোল শোধ করল ইকুয়েডর।

কিন্তু সেই স্বস্তি কেড়ে নিয়ে ফের এগিয়ে গেল আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধান নিয়েই ২০ বছর পর শেষ ষোলো নিশ্চিত করল আলিয়ু সিসের শিষ্যরা।

এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলেছিল সেনেগাল। ওই আসরে দলের ৫ ম্যাচের চারটিতে খেলেছিলেন দলটির বর্তমান কোচ সিসে। এবার তার অধীনেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করল আফ্রিকার জায়ান্টরা। তাছাড়া ২১ ম্যাচ পর কোনো আফ্রিকান দল বিশ্বকাপের মঞ্চে হারিয়ে দিল দক্ষিন আফ্রিকার কোনো দলকে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে কলম্বিয়াকে হারিয়েছিল ক্যামেরুন।

আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সেনেগাল। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে সেনেগালিজদের এগিয়ে দেন ইসমাইরা সার। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ভাগে গোল শোধ করেন ইকুয়েডরের মিডফিল্ডার মোইসেস কাইসেদো। তবে ৭০তম মিনিটে দক্ষিণ আমেরিকার দলটিকে স্তব্ধ করে দেন সেনেগালের কালিদু কুলিবালি।

প্রথমার্ধে দুই দল বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করে। কোনো শটে বল পোস্টে ঘেঁষে বেরিয়ে যায়, তো কোনো প্রচেষ্টা রক্ষণে প্রতিহত হয়। ৪২তম মিনিটে সত্যিকারের সুযোগ পেয়েই কাজে লাগায় সেনেগাল। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সার। তাকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো ইনকাপিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর স্পটকিকে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের সার।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় ইকুয়েডর। সাফল্যও পায় তারা। ৬৭তম মিনিটে ফেলিক্স তরেস দারুণ ফ্লিকে বক্সের মাঝখানের জটলায় বল পাঠালে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা কাইসেদো সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন। ইকুয়েডরের জার্সিতে সবচেয়ে কম বয়সে (২১ বছর ২৭ দিন) বিশ্বকাপ ম্যাচে গোল করার কীর্তি এখন কাইসেদোর দখলে।কিন্তু মাত্র তিন মিনিট পরেই ইকুয়েডরের স্বপ্ন ভাঙেন কুলিবালি। এভারটনের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গেইয়ের বাঁকানো ফ্রি-কিকে বল বক্সে ঢুকে তরেসের কাঁধে লেগে কুলিবালির কাছে যায়। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা চেলসি ডিফেন্ডার সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর কয়েকবার সুযোগ পেলেও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইকুয়েডর।

৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোয় উঠলো সেনেগাল। রাতের আরেক ম্যাচে কাতারকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে গ্রুপের আরেক দল নেদারল্যান্ডস। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই পরের পর্বে খেলবে ডাচরা।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram