‘জিয়া পরিবার আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তাকে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। তারা গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা মামলা ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থের নামান্তর।বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারও তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। জিয়া পরিবার আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।

তিনি বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নেতৃত্বশূন্য ও সামগ্রিকভাবে বিরাজনীতিকরণের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্যই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে। তারেক রহমানকে শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। যে অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তীতে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও অব্যাহত আছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে। এক ব্যক্তির হিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর। এমতাবস্থায় আমরা দুঃশাসনের অবসানে অতি দ্রুত তার দেশে ফেরার জন্য প্রতীক্ষা করছি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকদলের হাজী মো. ইদ্রিছ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, ইসমাইল বালী, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, জমির আহমদ, জাহিদ মাষ্টার, আলী আব্বাস খান, মো. বেলাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, মো. আসলাম, এড, এফ এ সেলিম, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাজী এমরান উদ্দীন, আবু সাইদ হারুন, মাসুদুল কবির রানা, নাসিম আহম্মেদ, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, এস এম আজাদ, মনজুর কাদের, কামরুল ইসলাম, মামুন আলম প্রমুখ।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram